আমার সপ্নের মতো সংসার চলছে এই ভাবেই


হঠাৎ মনে হলো তিব্র বৃষ্টি হচ্ছে আর আমি ভিজে জাচ্ছি। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে পাগলীটার সাথে নিয়ে নিজের রুমে ঘুমিয়েছিলাম। চোখ খুলে দেখি পাগলীটা তার ভেজা চুল থেকে পানি ফেলছে আমার মুখে,
-উঠে পরুন মহারাজা।
-হুম।
-উঠবে? নাকি গ্লাসে করে পানি এনে ঢালবো।
-প্লিজ আর ৫ মিনিট।
-উহু। ১ মিনিট ও না।
২ হাত বারিয়ে পাগলীটাকে তেনে নিয়ে জরিয়ে ধরলাম। পাগলীটাও জানে আমি এটা করবো কারণ এটা প্রতিদিন করি তবুও পুরাতন মনে হয় না।
-এই ছাড় বলছি।
-চুপ করে একটু ঘুমাও না।
-কি!
-কি হলো?
-আমি রান্না করছি তুমি ঘুমাও।
-তুমি গেলে ঘুমাবো কিভাবে?
-উঠ্বে এখন?
-হুম।
আমাকে ঠেলে উঠিয়ে দিলো। ওর কপালে একটা চুমু একে দিয়ে ফ্রেশ হতে গেলাম। পাগলীটা নাস্তা বানাতে গেলো। ফ্রেশ হয়ে বের হতেই পাগলীটার ডাকে খেতে গেলাম। আজ সকাল বেলাই বিরিয়ানি রান্না করেছে।
-খারাপ হলে কিছু বলতে পারবেনা কিন্তু।
-খারাপ হবে কেনো? আমার পাগলীটার রান্না খারাপ লাগবে আমার কাছে?
-হিহিহিহি।
-হাসো কেনো?
-পাগলীরা তো এমনিতেই হাসে।
-দেখি, হা কর।
-উহু, আগে তুমি হা কর।
-না। তুমি।
-নাও, একসাথে হা করি ২ জন?
-ওকে।
খাওয়া শেষ করে উঠে এলাম। অফিস যেতে হবে। ও খাওয়ার পর বাসন পরিষ্কার করছে, আমি ডাক দিলাম,
-এই শোন।
-হুম বলো।
-টাই।
-নিজে বেধে নিতে পারোনা।
-পারি।
-কি বললে!
-না পারিনা। তুমি আছো তো তাই আমার বাধতে না পারলেও চলবে।
-হুম। গুড বয়।
আমার পায়ের উপর দারিয়ে পাগলীটা আমার টাই লাগিয়ে দিচ্ছে আর আমি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। এই সময়টাই ও খুব লজ্জা পায় আর মুখটা লাল হয়ে ওঠে। টাই বাধা শেষ হতেই ওর কপালে একটা চুমু একে দিলাম। লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকালো পাগলীটা। তারপর আমাকে একটা চুমু দিয়ে বিদায় জানালো। অফিসে কাজের মাঝে ডুবে থাকায় আমার কাজ। তবে আজ কাজের চাপ একটু কম থাকায় বসে বসে ভাবছিলাম। কতো তারাতারি জীবনটাই বদলে গেলো! এইতো মাস ২ আগেও তো আমি বাসা ভাড়া পাওয়া অযোগ্য ছিলাম মানে ব্যাচেলর ছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে বিয়েটা দিয়ে দিলো। যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে তাকে আমি আগে থেকেই পছন্দ করতাম তাই আর অমত করার প্রশ্নই ওঠেনি। আর তখন থেকেই আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ অর্নি। ও হ্যা, আমার পাগলীটার নাম অর্নি। বাসায় ফিরে এসে দরজার কলিং বেল বাজাতে না বাজাতেই দরজা খুলে গেলো। অর্নি তার ওরনা দিয়ে আমার মুখটা মুছে দিলো। আমি ফ্রেশ হয়ে এসে পাগলীটাকে খাইয়ে দিলাম আর সেইসাথে ওর হাতে আমার খাওয়াটাঅ শেষ হলো। ঘুমানর জন্য রেডি হতেই ও বললো,
-আজ পুর্নিমা।
-তো?
-তো কিছুনা?
-কি হবে?
-থাক কিছু হবে না।
গাল ফুলিয়ে শুয়ে পরলো পাগলীটা। আমি জোর করে কোলে তুলে নিয়ে ছাদে উঠলাম। ওর চোখের দিকে তাকাতেই চোখ সরিয়ে নিলো লজ্জাই। ছাদে উঠে ওকে কোলে করেই দারিয়ে থাকলাম। -এই চাদের দিকে তাকাও।
-চাদের দিকেই তো তাকিয়ে।
-তুমি তো আমার দিকে তাকিয়ে।
-আকাশের চাদ তো ছোয়া যায়না। আর আমি আমার কোলের চাদটার দিকে তাকিয়ে আছি। লাল হয়ে উঠলো ওর মুখ। মুখটা আমার বুকে লুকালো। কিছুক্ষণ পর নেমে এলাম। ২ জন শুয়ে পরলাম। ও বললো,
-আমি তোমাকে অনেক জ্বালায়। তাইঅনা?
-কি বললে!
-তোমার মুন্ডু।
-পাগলী একটা।
-তোমারি তো।
-হুম।
আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো। একদম বাচ্চাদের মতো লাগছে ওকে

0 Response to "আমার সপ্নের মতো সংসার চলছে এই ভাবেই"

Post a Comment